ব্রেকিং
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রকাশ: ১৮:২৭, ৫ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৯:১৬, ৫ আগস্ট ২০২৫
সিলেটের নর্থ ইস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ ইকবাল বলেছেন, ৫ আগস্টের গণঅভ্যূত্থান না হলে হয়তো আমরা কবরে অথবা জেলে থাকতাম। আমরা আজ স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি শহীদের আত্মত্যাগের কারণে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যূত্থানের বর্ষপূর্তি ও শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় সিলেট মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (এসএমইউজে) আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
দৈনিক সিলেটের ডাকের প্রধান বার্তা সম্পাদক ও এসএমইউজে’র সিনিয়র সদস্য এনামুল হক জুবেরের সভাপতিত্বে এবং এসএমইউজের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, সিলেট প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি, আমার দেশ ব্যুরো চিফ খালেদ আহমদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. ইকবাল বলেন, প্রায় ১৫’শ ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্মম নির্যাতন আর গুলিতে। এসব শহীদদের মধ্যে ছাত্র, শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশাচালক, শিশু ও নারী রয়েছেন। তাদের ঋণ আমরা কোনো দিন শোধ করতে পারবো না। ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে অবিস্মরণীয় এই গণঅভ্যূত্থানে সব দলমতের লোকজন অংশ নেন। আন্দোলনে মা তার ছেলেকে, বোন তার ভাইকে দোয়া করে পাঠিয়েছিলেন। এমন আত্মত্যাগের ঘটনা বিরল। দেশপ্রেমিক যেসব বিপ্লবীরা যারা জীবন দিয়েছে তারা হচ্ছে আমাদের প্রকৃত যোদ্ধা। আমরা যেন তাদের কথা ভুলে না যাই। তাদেরকে আমাদের সবসময় স্মরণ রাখেতে হবে, খোঁজ নিতে হবে।
আন্দোলনের সময় নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, তিন-চার আগস্ট সরকার যখন মরিয়া হয়ে গেল তখন দোকানদার ভাইয়েরা ছাত্রদের রক্ষা করেছে। আন্দোলনটা আমরা সবাই মিলেমিশে করেছি। এই আন্দোলনে অনেক সাংবাদিক মারা গেছেন, অনেকেই আহত হয়েছেন। এই সিলেট অঞ্চলে ২৭টি পরিবার তাদের সন্তান হারিয়েছে, আমি তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি, শান্তনা দিয়েছি। যারা আহত হয়েছে, তাদের খোঁজ রাখতে হবে। বছরে একবার হলেও তাদের পরিবারের কাছে যাওয়া উচিত। আর্থিকভাবে কিংবা অন্যভাবে সহায়তা করতে পারলেও আরো ভালো হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক জোটের আহ্বায়ক অধ্যাপক ফরিদ আহমদ, সিলেট ল’কলেজের সাবেক ভিপি মাহবুবুল হক চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র টিবিএন ২৪ চ্যানেলের বিশেষ প্রতিনিধি ও সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী দীপু।
বক্তব্য রাখেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, এসএমইউজে’র সহ-সভাপতি আবদুল কাদের তাপাদার, প্রভাত বেলার সম্পাদক কবির আহমদ সোহেল, বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিরিক্ত পরিচালক জাবেদ আহমদ, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগের সভাপতি নাজমুল কবির পাবেল, দৈনিক সংগ্রামের ব্যুরো চিফ কবির আহমদ, কৃষিবিদ জামিল আহমদ, ব্যাংকার রাজু আহমদ, সাংবাদিক এম এ মতিন, ফয়সল আলম প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, এসএমইউজে’র সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ আমজাদ হোসাইন, বিএনপি নেতা সৈয়দ মইন উদ্দিন সুহেল, সিলেট বাণীর নির্বাহী সম্পাদক এম এ হান্নান, সিনিয়র সাংবাদিক কাউসার চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক শুয়াইবুল ইসলাম, এসএমইউজে’র সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, আনাস হাবিব কলিন্স, এস এ শফি, শেখ আব্দুল মজিদ, লুৎফুর রহমান তোফায়েল, এইচ এম শহিদুল ইসলাম, ইফতেখার মো: নাবিল, বদরুল আমিন, মুহিব হাসান ও ক্বারী ইশা তালুকদার, সাংবাদিক জুলফিকার তাজুল প্রমুখ। সভার শেষ পর্যায়ে মোনাজাত পরিচালনা করেন সিলেট মডেল মাদরাসার প্রিন্সিপাল আলহাজ্ব মাওলানা মঈনুল ইসলাম।