ব্রেকিং
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রকাশ: ১৩:৩১, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৫:৪৩, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সিলেটের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্কলার্সহোমের শাহী ঈদগাহ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থী আজমান আহমেদ দানিয়ালের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে আন্দোলনের মুখে অবশেষে নতি স্বীকার করেছে কর্তৃপক্ষ।
ক্ষার্থীদের উত্থাপিত ৫দফা দাবি এবং ৬টি সংস্কার প্রস্তাব মেনে নিয়েছে স্কলার্সহোম পরিচালনা পরিষদ। এর ফলে অভিযুক্ত ভাইস প্রিন্সিপাল আশরাফ হোসেন চৌধুরীসহ মোট তিন শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে স্কলার্সহোমের শাহী ঈদগাহ শাখার অধ্যক্ষ লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মুনীর আহমেদ কাদেরী (অব.) এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হাফিজ মজুমদার ট্রাস্টের সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত ভাইস প্রিন্সিপাল আশরাফ হোসেন চৌধুরীসহ তিন শিক্ষককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আজমানের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
এর আগে সকাল থেকে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিল শিক্ষার্থীরা। গত রোববারও শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে দাবি ও সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরে। সোমবার বেলা ১২টার দিকে কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে শিক্ষার্থীদের দাবিতে সম্মতি দেয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সায়েম হাসনাত বলেন, আমাদের সব দাবি ও সংস্কার প্রস্তাব মেনে নেওয়া হয়েছে। ভাইস প্রিন্সিপালের পদত্যাগ নিশ্চিত করা হয়েছে। শ্রেণি শিক্ষক শামীম হোসেন ও শিক্ষিকা তয়্যিবা বেগমকে অপসারণ করা হয়েছে। আমাদের আন্দোলনের কারণে কোনো শিক্ষার্থীকে হেনস্তা বা ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে খারাপ আচরণও করবে না কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, গত ১৭ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিকেলে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আজমান আহমেদ দানিয়ালের মরদেহ নিজ বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশ আত্মহত্যা হিসেবে ধারণা করলেও পরিবারের অভিযোগ, প্রি-টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করায় তাকে অপমানিত করে স্কলার্সহোম কর্তৃপক্ষ, যা তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করেছে।
আজমানের মৃত্যুর খবরে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সাবেক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের অভিযোগ, স্কলার্সহোম কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে, অভিভাবকদের অপমান করে এবং প্রায়শই শিক্ষার্থীদের ছাড়পত্র দিয়ে বের করে দেয়।
আজমানের দাফন সম্পন্ন হয় বৃহস্পতিবার বিকেলে। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে পুরো স্কলার্সহোম অঙ্গনে শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।