ব্রেকিং
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রকাশ: ১৯:০১, ৩ নভেম্বর ২০২৫
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে আলোচিত সাদাপাথর ও সংলগ্ন জেলার সর্বদৈঘ্য 'ধলাই ব্রিজ' রক্ষায় সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন।
অবৈধভাবে ব্রিজের গোড়া থেকে বালু ও পাথর উত্তোলন এবং চুরি টেকাতে বড় ধরনের অভিযানে নেমেছে যৌথবাহিনী। দুদিনে ১০৩ বালু নৌকা জব্ধ ও ১২ শ্রমিককে আটক করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার সকাল ১০টা থেকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ তালুকদারের নেতৃত্বে শুরু হয় সম্মিলিত যৌথবাহিনীর এই অভিযান।
অভিযানে ধলাই ব্রিজের নিচ থেকে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের কাজে নিয়োজিত ৯১টি নৌকা জব্দ করা হয়। এসব নৌকা বর্তমানে যৌথবাহিনীর হেফাজতে রয়েছে।
এছাড়া, রোববার গভীররাতে একই এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে আরও বালুভর্তি ১২টি নৌকা ও ১২ জন বালু লুণ্ঠনকারীকে আটক করে ৩ মাস করে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে বলে জানান ওসি রতন শেখ।
জানা যায়, গত জুলাই মাসে সাদা পাথর লুটের ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে স্থানীয় প্রশাসন। এরপর সরকার ধলাই ব্রিজ ও সাদা পাথর এলাকাকে রক্ষায় কঠোর অবস্থান নেয়। এই সময়ই সিলেটের জেলা প্রশাসক হিসেবে মো. সারওয়ার আলমকে পদায়ন করা হয় এবং কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও, ওসিকে বদলি করা হয়।
দুদকের তদন্তে সেই সময় সাদা পাথর লুটের ঘটনায় বিএনপি. জামায়াত নেতাসহ সহ ৪২ জন রাজনৈতিক নেতার নাম ওঠে আসে।
অন্যদিকে, বালুলুটের ঘটনায় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি (বর্তমানে জেলে) আব্দুল অদুদ আলফু মিয়ার নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক লুটেরার নামও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
এরপর কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ ইতোমধ্যে ঢালারপাড় বালু লুটের মামলায় রূপা মিয়াসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। সাম্প্রতিক অভিযানে হাতেনাতে ধরা পড়া ২৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে মোবাইল কোর্ট।
নবনিযুক্ত এসিল্যান্ড পলাশ তালুকদার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ধলাই ব্রিজ ও আশপাশের এলাকায় অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন রোধে একাধিক অভিযান পরিচালনা করেছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বলেন, সোমবার সকালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে বালু লুটের সময় ৯১টি নৌকা আটক করা হয়েছে। অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।