ব্রেকিং
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রকাশ: ১৯:৫১, ১ নভেম্বর ২০২৫
সিলেটে রহস্যজনকভাবে খুন আ’লীগ নেতা
সন্দেহভাজন হিসেবে ছেলে আটক,
থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে
* ছেলেকে আসামী করে পুলিশ মামলা করবে, পরিবারের কেউ মামলা করেনি
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় নিজ বাড়ির ছাদে প্রভাবশালী ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক খুনের ঘটনায় তার ছেলে আসাদ আহমদ (৩২) কে আটক করেছে পুলিশ।
রহস্যজনক এই খুনের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়েরেরও প্রস্তুতি চলছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন মামলা করা হয়নি। এই মামলায় আসাদকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার পর পরই পুলিশ সন্দেহভাজন হিসেবে নিহত আবদুর রাজ্জাকের ছেলে আসদকে দক্ষিণ সুরমা থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করার পাশাপাশি ঘটনার সাথে পারিবারিক কোন বিরোধ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, সিলেট এসএমপি’র এডিসি (মিডিয়া) সাইফুল ইসলাম শনিবার জানান, শুক্রবারই সন্দেহবশত নিহতের ছেলে আসাদকে আটক করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে কিছু ক্লু পাওয়া গেছে। আরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আব্দুর রাজ্জাককে হত্যা করা হতে পারে।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোন মামলা করা হয়নি। ফলে পুলিশ বাদী হয়েই একটি মামলা করবে। যাতে নিহতের ছেলেকে আসামি করা হবে।
এর আগে শুক্রবার সকালে পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছিলো, ফজরের নামাজ পড়ে বাসার ছাদে হাঁটতে যান আবদুর রাজ্জাক (৬০)। সকাল ৯টার দিকে তাকে বাসায় না পেয়ে ছাদে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা তার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
তিনি দক্ষিণ সুরমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি দক্ষিণ সুরমার মোল্লারগাঁও ইউনিয়নের তেলিরাই গ্রামের মৃত মৌলুল হোসেনের ছেলে।
তবে স্বজনরা জানিয়েছেন, সিসিটিভি ফুটেজে কাউকে বাড়িতে প্রবেশ বা বের হতে দেখা যায়নি। এছাড়া প্রধান ফটক ছিলো তালাবদ্ধ। পাশাপাশি পারিবারিক ভাবেও ছিলো না কোনো সমস্যা। তারা জানান, ফ্যাসিস্ট আ.লীগ সরকার পতনের পর থেকেই তার মানসিক অবস্থা খারাপ হয়। এনিয়ে তিনি ভারতেও চিকিৎসা নিয়েছিলেন। গত কয়েক মাসে তার মানসিক অবস্থার আরো অবনতি হয়েছিলো। কিন্তু এই বক্তব্য মানতে নারাজ পুলিশ।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানের ধারণা, আব্দুর রাজ্জাককে খুন করা হয়েছে। আত্মহত্যা করলে নাড়িভুঁড়ি বের হবে কেন। তার শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্নও রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
পুলিশ পারিবারিক ও সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের বিষয় সামনে রেখে রহস্যজনক এই হত্যা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী জানান, শুক্রবার রাতে আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ব্যাপারে পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তের আগে কিছুই বলা যাচ্ছে না।