ঢাকা, সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫

১৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ০৮ সফর ১৪৪৭

ব্রেকিং

Scroll
গোপালগঞ্জে হামলায় ‘ব্লকেড কর্মসূচিতে’ উত্তাল সিলেট
Scroll
ব্লকেড সরিয়ে নিন, রাজপথের একপাশে অবস্থান করুন: নাহিদ
Scroll
আদালত অবমাননার মামলায় শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড
Scroll
সিলেটে জাল প্রবেশপত্রধারী আটক ছাত্রীকে ১ বছরের কারাদণ্ড
Scroll
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন-২০২৬: সিলেটের ৬টি আসনে যারা লড়তে চান
Scroll
সিলেট জেলা ও মহানগর এনসিপি’র সমন্বয় কমিটি ঘোষণা
Scroll
সিলেটে ব্যবসায়ীর ৮ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় বন্ধুসহ গ্রেফতার ২
Scroll
প্রবল বৃষ্টিতে সিলেট শহরে হাঁটুপানি
Scroll
সিলেট সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১৬ জনকে বিএসএফের পুশইন
Scroll
ঈদুল আজহায় ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা
Scroll
সিলেটে এড. শামসুল হত্যা মামলায় ৩ আসামির ফাঁসি
Scroll
৪ মাস পর ফিরোজায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
Scroll
দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া
Scroll
সিলেটে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আটক ১৪
Scroll
সিলেটে কেএফসি গুড়িয়ে পতাকা উড়ালো ছাত্র-জনতা, বাটা ও ইউনিমার্টে ভাঙচুর
Scroll
হবিগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫০
Scroll
বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে প্রাণ গেল ১০ জনের
Scroll
ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা আদালতের

অতিরঞ্জিত ও বানোয়াট সংবাদ প্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান

সংবাদ সম্মেলনে ভূল তথ্যের প্রেক্ষিতে সুবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

প্রকাশ: ১৯:৩৪, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৩৮, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

সংবাদ সম্মেলনে ভূল তথ্যের প্রেক্ষিতে সুবিপ্রবি কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থানান্তরের দাবিতে সুনামগঞ্জে বুধবার একটি সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয় ও ভাইস চ্যান্সেলের সম্পর্কে যে বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে এর প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রকৌশলী মো: সারফুদ্দিনের স্বাক্ষরিতে এক বিবৃতিতে অসত্য, বিভ্রান্তিমুলক ও ভুল তথ্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকা ও অনলাইন গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিটি হবহু তুলে ধরা হলো-

সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থানান্তর আন্দোলন নামক একটি প্লাটফর্মের আহবায়ক এ্যাডভোকেট হুমায়ুন মঞ্জুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সুনামগঞ্জের কয়েকটি উপজেলার অধিকাংশ ব্যক্তিবর্গ অত্যন্ত চমৎকারভাবে তাদের দাবী দাওয়া উপস্থাপন করেন। 

যার মধ্যে একজন ব্যক্তি কিছু অসত্য ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য উপস্থাপন করেন যা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। অভিযোগগুলো খণ্ডন এবং জনসাধারনের মধ্যে বিভ্রান্তি দূর করতে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রকৃত সত্য ঘটনা তুলে ধরার প্রয়োজন মনে করছে। কারণ, এ ধরনের অসত্য, বিভ্রান্তিমুলক ও ভুল তথ্যে পরিপূর্ণ বিবৃতি ভিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের জন্য অসম্মানজনক ও মানহানিকর। 

সুবিপ্রবির নবনিযুক্ত ভিসি সিলেটের শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্বদ্যিালয়ের একজন স্বনামধন্য, খ্যাতিমান, প্রতিথযশা অধ্যাপক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গবেষক এবং কঠোর পরিশ্রমী ব্যক্তিত্ব। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ছাত্রী নিবাস সম্পর্কিত অভিযোগ প্রসঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান উপাচার্য অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করার আগে থেকেই ছাত্রী নিবাসটি বিনা ভাড়ায় চালু রয়েছে। যোগদানের পর জানতে পারেন যে, ছাত্রীরা সাবেক মন্ত্রীর বাড়ির একটি খালি অংশে বসবাস করছে। তিনি সিনিয়র শিক্ষক ও কর্মকর্তাবৃন্দ সহযোগে সরেজমিনে বিষয়টি তদন্ত করেন এবং ছাত্রীদের সাক্ষাৎকার নেন। সাবেক পতিত সরকারের সাথে সকল সংশ্লিষ্টতা ত্যাগ করার জন্য তাৎক্ষনিকভাবে ছাত্রী নিবাস স্থানান্তর পক্রিয়া শুরু করার নির্দেশনা প্রদান করেন। 

যা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন ও বাজেট প্রাপ্তি সাপেক্ষে দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। শান্তিগঞ্জের এলাকায় বাসা-বাড়ি/স্থাপনা ভাড়া নিতে গিয়ে সরকারের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় দেখিয়ে অর্থের নয়-ছয় করা হচ্ছে এবং ভিসি ও তাঁর প্রশাসন অনিয়মে জড়িত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য যে, পূর্ববর্তী ভিসি ০৩টি ভবন ভাড়া নেয়৷ যার মধ্যে ০১টি জি টু জি, অন্য ০২টি ব্যক্তি মালিকানাধীন। বর্তমান ভিসি মহোদয় ক্লাস ও ছাত্র-ছাত্রীদের আবাসনের বিষয়টি প্রক্রিয়াকরণের অংশ হিসেবে ইউজিসি এর কাছে উপস্থাপন করেছেন মাত্র; কোন ভবন ভাড়া গ্রহণ করেননি বরং তাঁর প্রচেষ্ঠায় স্থানীয় ০২টি প্রতিষ্ঠানের অব্যবহৃত ০৩টি বড় অংশ বিনা ভাড়ায় ব্যবহার করার চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে।

বর্তমান ভিসি মহোদয় যেখানে ১টি ভবন পর্যন্ত ভাড়া নেননি, এমনকি অদ্যবধি সরকারের অনুমোদন সংক্রান্ত কোন পত্রও পাওয়া যায়নি, সেখান এসব কাজের অনিয়ম বা নয়/ছয় করার প্রশ্নই আসে না। এসব অসত্য বক্তব্য কেবল জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার নিরলস প্রচেষ্ঠায় বিঘ্ন ঘটায়। 

অভিযোগকারীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, বর্তমান ভিসি যোগদানের পর থেকে অদ্যবধি কোন পদে নিয়োগও প্রদান করেননি। নতুন সিন্ডিকেট গঠনে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও সরকারের বিধি-বিধান প্রযোজ্য। 

এক্ষেত্রে ভিসি মহোদয়ের একক ইচ্ছায় নতুনভাবে সিন্ডিকেট গঠনের সুযোগ নেই। যেসব পদ গুলোতে মনোনয়নকৃত সদস্যগনের মেয়াদ শেষ হয়েছে, সেসব পদে পূনঃমনোনয়ন দেয়ার জন্য মহামান্য আচার্যের (মহামান্য রাষ্ট্রপতি) কার্যালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ ও কমিশনকে জানানো হয়েছে। 
ইতোমধ্যে ইউজিসি ও অর্থ মন্ত্রণালয় তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে প্রেরণ করেছে। অন্যান্য পদগুলোর মনোনয়ন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর বিবেচনাধীন। ধর্তব্য যে, ০২টি মাত্র ক্যাটাগরিতে প্রতি পদের বিপরীতে ০৩ জনের নামের প্রস্তাব প্রেরণের নিয়ম প্রচলিত রয়েছে, যাহা এখনো প্রেরিত হয়নি। প্রস্তাব প্রেরণের পর মহামান্য আচার্য ও মন্ত্রণালয় তাদের নিজস্ব বিবেচনায় যে কাউকে মনোনয়ন দিয়ে থাকেন। কাজেই স্পষ্টত প্ৰমাণিত হয় যে, ভিসি মহোদয় তড়িঘড়ি করে নিজের আজ্ঞাবহদের নিয়ে সিন্ডিকেট মেম্বারদের তালিকা করার অপতৎপরতার বিষয়টিও মনগড়া এবং বাস্তবতা বিবর্জিত। 

প্রসঙ্গত; উল্লেখ করা যেতে পারে যে, একই দিন পূর্ব নির্ধারিত স্থানে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পক্ষে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শান্তিগঞ্জ সমিতি সিলেটের উদ্যোগে ব্যাংকার জনাব মো: কবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সমিতির সদস্য সচিব শিক্ষানুরাগী এমদাদুল হক স্বপনের পরিচালনায় কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সিলেট মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খালেদ আহমদ। সেখানে শান্তিগঞ্জ, জগন্নাথপুর, ছাতক এলাকা ছাড়াও সিলেট শহরের সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন। তাঁরা সকলেই পূর্ব নির্ধারিত স্থানে সুবিপ্রবি ক্যাম্পাস স্থাপনের দাবি করেন।

উপরোক্ত ২টি মুভমেন্ট এবং সাম্প্রতিককালে স্থায়ী ক্যাম্পাসের জায়গার ব্যপারে অনুষ্ঠিত অন্যান্য পাবলিক মুভমেন্ট থেকে সুস্পষ্টভাবে দেখা যায় যে, সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার কিছু সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ সুবিপ্রবির ক্যাম্পাস স্থাপন নিয়ে পরস্পর বিরোধী সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন আয়োজন করে আসছেন। এক্ষেত্রে সুবিপ্রবির প্রশাসনের বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। ক্যাম্পাস যে স্থানেই হোক না কেন, তা বিবেচনার বাইরে রেখে প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় তথা জাতীয় স্বার্থে কাজ করছে এবং করবে। বিশ্ববিদ্যালয় স্থান নির্ধারণ একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় এটা কেবল সরকারই সিদ্ধান্ত নিবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেবল সরকারের সিদ্ধান্তের আলোকেই কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। 

সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে এই ধরনের অসত্য, কল্পনাপ্রসূত, অতিরঞ্জিত ও বাস্তবতা বিবর্জিত বানোয়াট সংবাদ প্রচার করা থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে। একই সঙ্গে মাননীয় উপাচার্য আসন্ন অতীব জরুরি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের ভর্তি পরীক্ষা (২৫-০৪-২০২৫, ০২-০৫-২০২৫ এবং ০৯-০৫-২০২৫ খ্রি.) সফলভাবে সম্পন্ন করার নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন