ব্রেকিং
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রকাশ: ১২:৫৯, ১২ জুন ২০২৫
কোহিনূর আহমেদ (বাঁয়ে) ও আবুল কাশেম (ডানে)। ছবি: সংগৃহীত
সিলেটে বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের একজন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কোহিনূর আহমেদ, আরেকজন হলেন জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম।
বুধবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক মুহম্মদ মুনির হোসেনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে কোহিনূর আহমেদকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী।
যুবদল নেতা আবুল কাশেমকে দল থেকে বহিষ্কারের তথ্য কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বিএনপির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ এবং দলের নীতি ও আদর্শপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে কোহিনূর আহমেদকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
স্থানীয় বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, সম্প্রতি কোহিনূরের শ্বশুরবাড়ি এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধের জেরে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় কোহিনূর তাঁর শ্বশুরবাড়ির পক্ষে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। সংঘর্ষে তাঁদের প্রতিপক্ষের একজন গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত হন। বিষয়টি বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে জানানো হলে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে এ অভিযোগকে মিথ্যা, মনগড়া ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত জানিয়ে কোহিনূর বলেন, ‘সম্প্রতি আমার শ্বশুরবাড়ি এলাকার দুটি গোত্রের মধ্যে যে বিরোধ ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমাকে জড়ানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। আমি এ ঘটনায় জড়িত নই, এমনকি আমি ওই ঘটনায় সরাসরি ও পরোক্ষভাবে ওয়াকিবহালও নই। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দলের শীর্ষ নেতৃত্ব যথাযথভাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন।’
যুবদলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে পাথর লুটে জড়িত থাকায় আবুল কাশেমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সিলেট জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মুমিন জানান, বহিষ্কৃত নেতার কোনো ধরনের অপকর্মের দায়দায়িত্ব দল নেবে না।
জেলা যুবদলের একটি সূত্র জানিয়েছে, জাফলং এলাকায় অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন, লুট ও পরিবেশবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে হওয়া মামলায় গত ২৭ এপ্রিল সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন আবুল কাশেম। তবে ঈদের আগে তিনি জামিনে ছাড়া পান।