ব্রেকিং
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রকাশ: ১৮:৪৮, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সিলেট বিভাগের প্রধান চিকিৎসাকেন্দ্র এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিদর্শন করেছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উমর রাশেদ মুনির, উপ-পরিচারক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তীসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক বলেন, “ওসমানী হাসপাতালের সেবার মান কীভাবে আরও উন্নত করা যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। অল্প সময়ের মধ্যেই এ হাসপাতালকে সিলেট অঞ্চলের অন্যতম সেরা স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে রূপান্তর করতে চাই।”
হাসপাতালের চ্যালেঞ্জগুলোর কথা তুলে ধরে তিনি জানান, ৯০০ শয্যার এ প্রতিষ্ঠানে জনবল আছে মাত্র ৫০০ শয্যার জন্য। অথচ প্রতিদিন ধারণক্ষমতার তিন থেকে চারগুণ বেশি রোগী ভর্তি থাকেন। সোমবারও প্রায় ২৭০০ রোগী ভর্তি ছিলেন। রোগীদের সঙ্গে কয়েকজন স্বজনও অবস্থান করায় সেবায় বিঘ্ন ঘটে।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল উমর রাশেদ মুনির বলেন, রোগীদের যথাযত চিকিৎসা প্রদানে আমরা আন্তরিক। কিন্তু পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা ও চিকিৎসকদের অভাবে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয়। বিষয়টি আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। এ হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো পাশাপাশি ডাক্তার, নার্স ও প্যাথলজিস্টের সংখ্যা বাড়াতে হবে। তা না হলে রোগীদের চাহিদা মতো সেবা সম্ভব হবে না।
হাসপাতালে দালালের উৎপাত প্রসঙ্গে সারওয়ার আলম বলেন, “ওসমানী হাসপাতালে কোনো দালালকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। কেউ ঢোকার চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি কোনো ক্লিনিক এখান থেকে রোগী ভাগিয়ে নিতে চাইলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এছাড়া পরিচ্ছন্নতা, গাড়ি পার্কিং এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণসহ নানা সমস্যা চিহ্নিত করে তিনি জানান, প্রতি সপ্তাহে বা পনের দিনে একবার হঠাৎ করে এসে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। তার মতে, সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় দ্রুতই ওসমানী হাসপাতালকে একটি আধুনিক ও উন্নত সেবার কেন্দ্রে পরিণত করা সম্ভব।
হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মকর্তারা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ছিলেন এবং তাঁরা হাসপাতালের সার্বিক উন্নয়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।