ঢাকা, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির মানববন্ধন

‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত নয়, টেকসই সংস্কার চাই‘

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

প্রকাশ: ১৫:২৯, ১৯ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৫:৪৯, ১৯ মে ২০২৫

‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত নয়, টেকসই সংস্কার চাই‘

‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত নয়, টেকসই সংস্কার চাই’ এর দাবিতে সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে অধ্যাদেশ বাতিল এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত না করে, টেকসই সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন।

সোমবার (১৯ মে) দুপুরে মেন্দিবাগ কর ভবনের সামনে এক মানববন্ধনে কর আইনজীবীরা এসব দাবি জানান।

সিলেট জেলা কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি সিরাজুর হুসেন আহমদ আলমগীরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ফজলুর রহমান শিপুর পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এম. শফিকুর রহমান, মুত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, মো: আবুল ফজল, সমর বিজয়ী সী শেখর, মোহাম্মদ আব্দুল আলীম পাঠান, মো: সফিকুল ইসলাম, সুব্রত কুমার রায়, মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, কাউছার মাহমুদ চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, মওদুদ আহমদ, সৈয়দ আব্দুল হামিদ, সদরুল হাসান চৌধুরী, আ.স.ম মুবিনুল হক শাহীন, মোখলেছুর রহমান প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা আমরা “জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত নয়, টেকসই সংস্কার চাই। বাংলাদেশের সংবিধানে ৯৩ (১) অনুচ্ছেদের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গত ১২ মে ২৪ নম্বর অধ্যাদেশ দ্বারা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত করে “রাজস্ব নীতি বিভাগ ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ”নামে দুইটি পৃথক বিভাগ করা হয়। ফলে রাজস্ব ব্যবস্থা নির্বাহী বিভাগে চলে যাওয়ার ঝুঁকিতে  গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। 

বক্তারা আরো বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সংস্কার বিষয়ক পরামর্শক কমিটি তৈরী করা হয়। সেই পরামর্শক কমিটি কর বিশেষজ্ঞ, সিভিল সোসাইটি, ব্যবসায়িক সমিতি, আইনজীবীদের, সাবেক কর কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শক করে একটি রিপোট তৈরী করেন। অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রেরণ করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল পরামর্শক কমিটির রিপোর্ট আমলে নেওয়া হয়নি। অংশীজনদের সাথে পরামর্শ না করে গোপনে, তাড়াহুড়া করে গভীর রাতে অধ্যাদেশ জারি করেন। যা জনমনে উৎকন্ঠা তৈরী হয়। 

এর আগেও ২০০৮ সালে  তত্তাবধায়ক সরকার কর্তৃক রাজস্ব প্রশাসন ও নীতি প্রণয়নে কার্যক্রম গ্রহণ পূর্বক একটি আদেশ জারী করা হলেও বাস্তবায়ন করা হয়নি। ২০০৯ সালে পরবর্তী সরকার সেই সিদ্ধান্ত বাতিল স্থগিত না করে সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন থেকে সরে আসে। আমরা মনে করি রাজস্ব গতিশীল করার জন্য আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী একটি দেশের রাজস্ব নীতি প্রণয়ন ও ব্যবস্থাপনার জন্য আইনি সুরক্ষা, স্বছতা, জবাবদিহিতা, দুর্নীতিমুক্ত ও সতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিশ্চিত পুর্বক জাতীয় রাজস্ব বোর্ড যাতে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব ও আওতামুক্ত থাকে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। অথচ পরামর্শক কমিটির মূল সুপারিশকে উপেক্ষা করে দেশের রাজস্ব ব্যবস্থাকে নির্বাহী বিভাগের অধীনস্ত দুটি বিভাগে পরিনত হয়েছে যা কর নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও স্বার্থের সংঘাতসহ বিভিন্ন অনিয়ম থেকেই যাচ্ছে যা রাজস্ব বোর্ডের আন্ত ক্যাডারদের মধ্যে মারাত্মক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

তাই জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বিলুপ্ত না করে সংস্কার (আপিলাত যুগ্মকর কমিশনার কে নিরপেক্ষ রাখা, ট্রাইবুনাল কে নিরপেক্ষ রাখা, কর কমিশনার (আপিলাত) কর অঞ্চলে নিয়ে আসা, করদাতাদের হয়রানী না করা, কর ন্যায়পাল নিযুক্তি, দুর্নীতি নিয়ন্ত্রনে আসা, দক্ষ, যোগ্য লোককে দায়িত্ব প্রদান করা) আরও প্রয়োজনীয় সংস্কার করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে প্রতিষ্ঠিত করা।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন