ব্রেকিং
বিয়ানীবাজার (সিলেট) প্রতিনিধি:
প্রকাশ: ১৯:৪৭, ২৩ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৪৮, ২৩ জুলাই ২০২৫
* বিয়ানীবাজারে জামায়াতের জনশক্তি ও সুধী সমাবেশ
*৫ আগস্টের পর আমরা ঐক্যের ডাক দিয়েছিলাম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা বিভেদের বাংলাদেশ চাই না। মানবিক ও সাম্যের বাংলাদেশ চাই। আমরা গণতন্ত্র ও সংস্কার মজবুত করতে চাই। আমরা ন্থানীয় নির্বাচন চেয়েছি, প্রবাসীদের ভোটাধিকার চাই, যেন তারা তাদের ভোটের প্রয়োগ করতে পারে। আমরা সেই বাংলাদেশ গড়তে দেশবাসীর ভালবাসা চাই, সহযোগিতা চাই।
বুধবার বিকেলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বিয়ানীবাজার উপজেলা ও পৌর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত জনশক্তি ও সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, আমরা কথা দিচ্ছি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে যুবকদের দেশ গড়ার কারিগর বানাবো। দক্ষ মানবশক্তি তৈরী করবো। জনগনকে ঠকিয়ে কোন রাষ্ট্রনায়ক সফল হতে পারেনি। অন্যায়, জুলুম ও দূর্র্নীতি করলে চৌদ্দগুষ্টিসহ পালাতে হয়। জামায়াতে ইসলামীর ১১জন নেতা হাসতে-হাসতে ফাসির কাষ্টে ঝুলেছেন। কিন্তু কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। তিনি বলেন, আল্লাহর দেয়াকে এদেশের মানুষকে ভালোবাসি, আমরা চুরি-চামারি করি না, তাই পালাতে হয় না।
জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান আরোও বলেন, আগামী নির্বাচন দেরীতে হোক আমরা সেটা চাইনা। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ। বিগত দিনের মত যেনতেন কোন নির্বাচন জামায়াতে ইসলামী মানবেনা। আমরা আর কাউকে আখের গোছাতে দিবোনা। জনগণের সম্পদে কাউকে হাত দিতে দেয়া হবেনা। অনেক নির্যাতন-নিপীড়নের পরও আমরা ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে ঐক্যের ডাক দিয়েছিলাম। আমরা বলেছিলাম কোনো প্রতিশোধ নেব না। কারণ আমরা দেশে স্থিতিশীলতা চাই।
তিনি বলেন, পতিত সরকারের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন গদি ছেড়ে দিলে দেশে একদিনে ৫ লক্ষ লোক মারা যাবে। অনেক দেশের উদাহরণ আছে গণঅভ্যুত্থান ও বিপ্লবের পর রক্তের ¯্রােত বয়ে গেছে। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীর ধৈর্যের কারণে কোথাও সে ধরনের ঘটনা ঘটেনি। আমরা ভিন্ন ধর্মের লোকদের নিরাপত্তা দিয়েছি, এখনো দিচ্ছি। অথচ বিগত সরকারের সময়ে আমরা সবচেয়ে বেশী নির্যাতিত হয়েছি। আমাদের উপর দিয়ে তান্ডব বয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত জামায়াত, ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের মাটির নীচে ও উপরে আল্লাহতায়ালা সম্পদ দিয়েছেন। এত সম্পদ থাকার পরেও আমরা কেন স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পারিনি। আমাদের কেবল চারিত্রিক সম্পদের অভাব। এই কারণেও স্বপ্নের দেশ গড়া সম্ভব হয়নি। গত ৫২ বছরেও জনগণের দিকে কেউ ভালো করে ফিরে থাকায়নি। নিজেদের আখের গোছানো আর দলের শক্তি বৃদ্ধিতে মনোযোগী ছিলেন তারা। আগামীতে সেইদিন যাতে না আসে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানান তিনি।
উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা ফয়জুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী আবুল কাশেম ও পৌর আমীর কাজী জমির হোসাইনের পরিচালনায় সুধী সমাবেশে বিশেষ অথিতির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারী জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের, সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ) আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, সিলেট জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, মহানগর আমীর ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।