ব্রেকিং
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশ: ২১:৩৯, ৩০ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর যৌথ প্রশিক্ষণ সিলেটে সম্পন্ন
'টাইগার লাইটনিং' বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের
পারস্পরিক সহযোগিতার প্রতীক: জ্যাকবসন
সিলেটের জালালাবাদ সেনানিবাসে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর যৌথ প্রশিক্ষণ ‘অপারেশন টাইগার লাইটনিং’ সম্পন্ন হয়েছে।বুধবার (৩০ জুলাই) দুপুরে আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে এই প্রশিক্ষণের সমাপ্তি ঘটে।
প্রশিক্ষণে অংশ নেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এলিট ইউনিট প্যারা-কমান্ডো ব্রিগেডের ১০০ সদস্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা ন্যাশনাল গার্ডের অধীনস্থ ৬৬ সদস্য। প্রশিক্ষণের মূল লক্ষ্য ছিল দু’দেশের সেনাদের মধ্যে পারস্পরিক দক্ষতা বৃদ্ধি এবং অপারেশনাল সমন্বয় জোরদার করা।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এ এস এম রিদওয়ানুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্যারা-কমান্ডো ব্রিগেডের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল হাসান। এরপর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম নিয়ে নির্মিত একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন ইউএস মেজর উইস্টিসেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর মাহমুদুল হাসান।
বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন বলেন, টাইগার লাইটনিং শুধু একটি যৌথ সামরিক মহড়া নয়, এটি বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক সহযোগিতার প্রতীক। ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিতের যৌথ লক্ষ্যেরই প্রতিফলন এটি। তিনি আরও বলেন, এই মহড়ার মাধ্যমে মার্কিন সেনারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষা অভিযানে প্রমাণিত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সর্বদা শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে থাকে এবং মানের দিক থেকেও প্রথম সারিতে রয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১৮০০ নারী সেনাসদস্য এসব মিশনে দায়িত্ব পালন করছেন।
সেনাবাহিনী জানায়, টাইগার লাইটনিং যৌথ মহড়ার একটি ধারাবাহিক আয়োজন। বর্তমানে ‘টাইগার শার্ক’ নামে আরেকটি মহড়া চলছে, যেখানে স্পেশাল ফোর্সের সঙ্গে নৌবাহিনী অংশ নিচ্ছে। এ বছরের শেষ দিকে বিমান বাহিনীর সঙ্গে ‘প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল’ মহড়া অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠান শেষে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সদস্যদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়।
সন্ত্রাস দমন, শান্তিরক্ষা, জঙ্গল অপারেশন এবং বিস্ফোরক ব্যবস্থাপনার মতো বিশেষায়িত বিষয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর মধ্যে এই যৌথ সামরিক প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এর আগে গত ২৩ জুলাই এই যৌথ প্রশিক্ষণ শুরু হয়।