ব্রেকিং
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশ: ২১:০২, ২৮ জুলাই ২০২৫
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের বিষয়ে আপত্তি নেই। তবে নির্বাচন ঘিরে এক ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কারণ, এখনো পর্যন্ত লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ২০তম বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কে সরকারি বা কে বিরোধী দল হবে, সেটি পরের বিষয়। আমরা দেশের জন্য কাজ করতে চাই।’
আগামী নির্বাচনের ইশতেহারে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা থাকবে এক নম্বরে। এ ব্যাপারে আমরা জিরো টলারেন্স। ইতোমধ্যে আমরা ছোটখাটো যেখানে দায়িত্ব পালন করেছি, সেখানে আমরা সে দৃষ্টান্ত রেখেছি, যোগ করেন তিনি।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, ‘পিএসসি, দুদক, মহাহিসাব নিয়ন্ত্রক ও ন্যায়পাল নিয়োগ সাংবিধানিকভাবে হওয়ার পক্ষে জামায়াত। আর বিএনপিসহ কয়েকটি দল চায় নির্বাহী বিভাগ এ নিয়োগ দেবে। তাদের আশঙ্কা এতে নির্বাহী বিভাগ দুর্বল হয়ে যেতে পারে। আমরা মনে করি, এ কথা সঠিক নয়। বরং এর মাধ্যমে যোগ্য ও দক্ষ লোক নিয়োগ পাবে।’
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের বৈঠক থেকে ওয়াকআউটের কোনো সুযোগ আছে কি না, তা আমাদের জানা নেই। আমরা বলেছি—পিএসসি সাংবিধানিক হতে হবে। তারা কেন বিরোধিতা করছেন, তার মানে আপনারা দলীয়করণ করতে চান। এ নিয়ে দেশের জন্য ভালো হলে আর কোনো দলের সমস্যা হলে, তা জাতি মানবে না।’
তিনি প্রশাসনিক অদক্ষতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘কিছু আমলা যেন কর্তৃত্ববাদিতার ভূত। যদি আমরা একই ভুল নিয়োগ পদ্ধতি চালিয়ে যাই, তাহলে এই ভূত আমাদের বারবার ভোগাবে। আমরা চিরতরে এই প্রভাব দূর করতে চাই।‘
স্বচ্ছতার বিষয়ে তাহের বলেন, কিছু রাজনৈতিক দল স্বচ্ছতার পক্ষে কথা বললেও তারা সাংবিধানিক সুরক্ষার বদলে আইনগত বিধিবিধানের পক্ষে সাফাই গায়। তিনি এ প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেন।
কারণ, তার মতে, আইনসংক্রান্ত বিধানগুলো সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার মাধ্যমে সহজেই পরিবর্তন করা যায়, যা স্থিতিশীলতা ও নিরপেক্ষতা নষ্ট করে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই এই বিষয়টি সংবিধানে সুরক্ষিত থাকুক, যাতে কোনো সরকার ইচ্ছামতো তা পরিবর্তন করতে না পারে। আমরা দেখেছি কীভাবে সকালবেলা একটি আইন পাস হয় আর বিকালেই তা বাতিল করা হয়। এই ধরনের নমনীয়তা শোষণের সুযোগ সৃষ্টি করে।’
‘সচিবালয়ে সারা জনম প্রেতাত্মা থাকবে তা হবে না। আমরা প্রেতাত্মা-বিহীন সচিবালয় চাই।’তিনি বৈঠকে ফিরে আসায় বিএনপিকে ধন্যবাদ জানান।