ব্রেকিং
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশ: ১৯:৩২, ৪ আগস্ট ২০২৫
নিরাপদ সড়ক ও দূর্ঘটনা এড়াতে কাজির বাজার সেতুর উভয় পাশের রাস্তা প্রশস্তকরণ, প্রস্তাবিত শাহজালাল (রহ.) চত্বর বাস্তবায়ন ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করার দাবীতে সিলেট জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন এবং সড়ক বিভাগে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বৃহত্তর শেখঘাট ও পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা ও যুব সমাজের নেতৃবৃন্দ।
সোমবার (৪ আগষ্ট) সিলেট সিটি করপোরেশন এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এবং সড়ক বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, কাজির বাজার সেতু দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করলেও সেতুর উভয় পাশে রাস্তাটি সরু এবং ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে ১০, ১১, ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের (যেমন—বুড়ুকটুলা, টাটাপাড়া, কল্লাগ্রাম, বাগবাড়ি, মোল্লারগাঁও, মুকরমপুর, পাঠানটুলা, দরবস্ত, কাজির বাজার, নবাব রোড, খোজারখলা, ধোপাখলা, পশ্চিম পাঠানটুলা) হাজারো মানুষ প্রতিদিন এই সেতু ব্যবহার করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে যাতায়াত করেন। সরু রাস্তায় যানজট ও দুর্ঘটনার কারণে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
এছাড়া স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, জিঞ্জিরা মিয়ার মাজারের পাশে স্থায়ীভাবে একটি “শাহজালাল (রহ.) চত্বর” প্রতিষ্ঠা করা হলে এটি ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠবে। কারণ, মহান ইসলাম প্রচারক হযরত শাহজালাল (রহ.) এই পথেই সিলেটে প্রথম পদার্পণ করেছিলেন বলে জানা যায়।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, উক্ত এলাকাটিতে মাদ্রাসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, পাশাপাশি রয়েছে হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বিআরটিএ, সিলেট জেলা পরিষদ, পুলিশ লাইনস, আদালত ইত্যাদি—যেখানে প্রতিদিন হাজারো মানুষ যাতায়াত করেন। এমনকি দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন স্থান ও দেশের অন্যান্য জেলা থেকে আগত মানুষরাও এই পথ ব্যবহার করেন, ফলে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জনপথ।
স্মারকলিপি প্রদানকালে এলাকাবাসীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, হাজী শফিক মাহমুদ, মো: নুরুল আলম, মো: ফখরুউদ্দিন, শাব্বীর আহমদ, মো: অলিউর রহমান সাজন, মো: জবের আহমদ, মো: ছাব্বির আহমদ, শামীম আহমদ, মো: শফিকুল ইসলাম, মো: আব্দুল কাদির, মির্জা সম্রাট, তৌকির আহমদ শাওন, আব্দুল হক, মালিক আহমদ, মোস্তাক আহমদ, মো: সিকন্দর আলী, ফয়েজ আহমদ, এডভোকেট ছাইদুর রহমান জুবের, সাহেদ আহমদ, মো: মঈনুল ইসলাম প্রমুখ।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তি, সাংবাদিক এবং যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এই স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পিএ।
স্মারকলিপি প্রদানকারীরা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, জনস্বার্থে ও ইতিহাস-ঐতিহ্যের মর্যাদা রক্ষায় সিসিক দ্রুত পদক্ষেপ নেবে। তারা জানান, দাবি বাস্তবায়নে প্রয়োজনে বৃহত্তর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।