ব্রেকিং
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশ: ১৭:৫৫, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী’র লেখা ‘মুখের ক্যান্সার: প্রতিরোধ ও চিকিৎসা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরডাপ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
সভাপতিত্ব করেন মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী। চন্দ্রছাপ থেকে প্রকাশিত স্বাস্থ্য বিষয়ক বইটি উৎসর্গ করা হয়েছে প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিনকে।
মানস এর আয়োজনে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এর মহাপরিচালক আখতার-উজ জামান, মানস এর সহ-সভাপতি রুমানা রশিদ ইশিতা, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস ওয়াহিদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান তালুকদার, সাবেক অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার, ডাস এর উপদেষ্টা আমিনুল ইসলাম বকুল, এইড ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর সাগুফতা সুলতানা প্রমুখ।
নূরজাহান বেগম বলেন, স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৭১ শতাংশ জনগণ বহন করছে। রোগ-ব্যাধি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। এ সকল রোগের অন্যতম কারণ তামাকজাত দ্রব্য সেবন। আশঙ্কার বিষয় হলো, কিশোর-তরুণরা লুকিয়ে ছাপিয়ে সিগারেটে আসক্ত হচ্ছে, তাই অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে যেন তার সন্তান সঠিক পথে চলে। তামাকের বিরুদ্ধে পরিবার, সমাজ, বন্ধু-বান্ধব সকল পর্যায়ে যার যেখানে সুযোগ আছে, সচেতনতা বাড়াতে কাজ করে যেতে হবে। তামাক নিয়ন্ত্রণ শুধু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব নয়, বরং ড. অরূপরতন এর মতো সবার এগিয়ে আসা প্রয়োজন। ‘মুখের ক্যান্সার: প্রতিরোধ ও চিকিৎসা’ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা উল্লেখ করে তিনি বইটির বহুল প্রচার প্রত্যাশা করেন।
ড. অরূপরতন চৌধুরী বলেন, মুখের ক্যান্সারের মূল কারণ হচ্ছে তামাকপাতা, জর্দ্দা, গুল সেবন। গ্রামাঞ্চলে মানুষ বিশেষ করে মহিলারা পানের সাথে জর্দ্দা, সাদাপাতা সেবন করেন। ফলে ক্যান্সার ছাড়াও তাদের অনেক দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। মুখ হলো স্বাস্থ্যের প্রবেশ পথ। তাই মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখলে দেহের সুস্থতা নিশ্চিত করা যায়। জনসচেতনতার অংশ হিসেবে বইটি লিখেছি, এখন প্রচারণা ও বইটির প্রসারে কাজ করতে হবে।