ব্রেকিং
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রকাশ: ১৯:১৯, ১৯ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৯:২২, ১৯ জুলাই ২০২৫
* শহীদ তুরাব পদক পেলেন কাউসার চৌধুরী ও রাব্বি
সিলেটের শহীদ সাংবাদিক এটিএম তুরাব জীবন দিয়ে আমাদেরকে দায়বদ্ধ করে গেছেন। তার হত্যার বিচার নিয়ে কোন টালবাহানা সহ্য করা হবে না। শহীদ তুরাবের বিচার ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট সকল মহলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানানো হয়।
২০২৪ সালের ১৯ জুলাই গণআন্দোলনের সময় সিলেটের কোর্ট পয়েন্টে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন সিলেট প্রেসক্লাব সদস্য সাংবাদিক তুরাব।
শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে সিলেট প্রেসক্লাবে তাঁর ১ম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে সিলেট প্রেসক্লাব আয়োজিত আলোচনা সভা, তুরাব স্মৃতি পদক প্রদান ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় অংশ নেন-শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. সাজেদুল করিম, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম পিপিএম, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
আলোচনা সভায় ড. সাজেদুল করিম বলেন, ফ্যাসিস্টদের দুর্বিসহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতেই ছাত্র দেশে জনতার অভ্যুত্থান হয়েছে। দেশকে ভালবেসেই এতে প্রাণ দিয়েছেন তুরাবসহ শহীদরা। তাদের রক্তের সাথে আমাদের শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তুরাব স্মৃতি পদক প্রদান অব্যাহত রাখার আহবান জানান তিনি।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিম পিপিএম বলেন, পুলিশ সরকারের হয়ে কাজ করবে কিন্তু তার মধ্যে পেশাদারিত্ব থাকবে না তা হতে পারেনা। ভোট ও গণতন্ত্রের সংস্কৃতি না থাকায় পুলিশ দিয়ে সব কিছু করানোর কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। এ জন্য আমরা লজ্জিত বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন, অপরাধ কর্মকান্ডে পুলিশ সদস্য জড়িত হলেও তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে। তুরাব হত্যাকান্ডের বিষয়টি নিবিড়ভাবে দেখা হচ্ছে। খুব দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ায় যাওয়া যাবে বলেও জানান এসএমপি কমিশনার।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সত্যিকারে তুরাব হত্যার বিচার চাইলে আটঘাট বেঁধে নামতে হবে। এ জন্য একটি আইনজীবী প্যানেল গঠনের পরামর্শ দেন তিনি। সেই সাথে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সাংবাদিক তুরাবের স্মৃতি তুলে ধরতে সিলেট সিটি কর্পোরেশন, প্রশাসনসহ অন্যান্য সংস্থার সাথে বসে সিদ্ধান্ত নিতে তিনি সিলেট প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান।
সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকরামুল কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন-বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী, সিলেট জেলা বারের সাবেক সভাপতি ও সিলেট প্রেসক্লাবের আইন উপদেষ্টা এডভোকেট এমাদউল্লাহ শহীদুল ইসলাম, সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. জিয়াউর রহমান চৌধুরী, সিলেট প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও আমার দেশ ব্যুরো চীফ খালেদ আহমদ, বৈষম্যবিরোধী শিক্ষক জোটের আহবায়ক প্রফেসর ফরিদ আহমদ, সিলেট মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বদর, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল কবির পাবেল, ইমজা সেক্রেটারি সাকিব আহমদ মিটু, দৈনিক প্রভাতবেলা সম্পাদক কবির আহমদ সোহেল, দৈনিক নয়া দিগন্তের ব্যুরো প্রধান আবদুল কাদের তাপাদার, দৈনিক জালালাবাদের প্রধান প্রতিবেদক আহবাব্ মোস্তফা খান।
শুরুতে কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ক্লাবের পাঠাগার ও প্রকাশনা সম্পাদক কবির আহমদ। মোনাজাত পরিচালনা করেন ক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক।
উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের সিনিয়র সদস্য আব্দুল মালিকা জাকা, সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান আতা ও এম এ হান্নান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সমরেন্দ্র বিশ্বাস সমর, সহ-সভাপতি বাপ্পা ঘোষ চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক শুয়াইবুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আনিস রহমান, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক শেখ আব্দুল মজিদ, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ আশরাফুল আলম নাসির, সদস্য চৌধুরী দেলওয়ার হোসেন জিলন, কামকামুর রাজ্জাক রুনু, মো. মুহিবুর রহমান, মো. ফয়ছল আলম, মো. আমিরুল ইসলাম চৌধুরী এহিয়া, আনাস হাবিব কলিন্স, ফারুক আহমদ, নূর আহমদ, ইউনুছ চৌধুরী, সিন্টু রঞ্জন চন্দ, গোলজার আহমেদ, নৌসাদ আহমেদ চৌধুরী, প্রত্যুষ তালুকদার, মো. দুলাল হোসেন, লুৎফুর রহমান তোফায়েল, এম রহমান ফারুক, শফিক আহমদ শফি, অনিল কুমার পাল, সহযোগী সদস্য সেলিম আউয়াল, হুমাযুন কবির লিটন ও এইচ এম শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।
সিলেট প্রেসক্লাব প্রবর্তিত প্রথম শহীদ সাংবাদিক তুরাব স্মৃতি পদক পেলেন সিলেটের ডাকের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার কাউসার চৌধুরী ও দৈনিক কালের কণ্ঠের ফটোসাংবাদিক আস্কার আমিন লস্কর রাব্বী।