ব্রেকিং
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রকাশ: ১৭:২৫, ২১ জুন ২০২৫
সুনামগঞ্জে টাঙ্গুয়ার হাওরে পর্যটকদের ভ্রমণে বেশ ১৩টি নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। হাওরের জীববৈচিত্র রক্ষায় এসব নির্দেশনা পালন করার জন্য শনিবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, উচ্চ শব্দে গান-বাজনা করা বা শোনা যাবে না। হাওরের পানিতে অজৈব বা প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য/বর্জ্য ফেলা যাবে না। মাছ ধরা, শিকার বা পাখির ডিম সংগ্রহ করা যাবে না, পাখিদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে কোনো ধরনের বিঘ্ন ঘটানো যাবে না। ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু বা রাসায়নিক ব্যবহার করা যাবে না। গাছ কাটা, গাছের ডাল ভাঙা বা বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা যাবে না। কোর জোন বা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করা যাবে না ও মনুষ্যসৃষ্ট জৈব বর্জ্য হাওরে ফেলা যাবে না।
এ ছাড়া জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত নৌপথ ব্যবহার করতে হবে। লাইফ জ্যাকেট পরিধান করতে হবে। প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার থেকে বিরত করতে হবে। দূর থেকে পাখি ও প্রাণী পর্যেবক্ষণ করতে হবে, ফ্ল্যাশ ছাড়া ছবি তুলতে হবে। স্থানীয় গাইড ও পরিষেবা গ্রহণ এবং ক্যাম্পফায়ার বা আগুন জ্বালানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
নির্দেশনায় আরও উল্লেখ করা হয়, সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলাধীন ১০টি মৌজা জুড়ে ছোট-বড় ১০৯টি বিলের সমন্বয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরের অবস্থান। মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থিত টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকার আয়তন প্রায় ১২৬৫৫.১৪ হেক্টর, যা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠাপানির জলভূমি। পরিবেশগত ঐতিহ্য ও গুরুত্বের বিষয়টি বিবেচনা করে সরকার টাঙ্গুয়ার হাওরকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশ সংকটাপন্ন বিশেষ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে রামসার কনভেনশনের অধীনে রামসার এলাকা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। সংকটাপন্ন এই হাওরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় পর্যটকদের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া বলেন, ‘আমরা এলাকার সচেতন নাগরিকদের বলছি- আপনারা এসব বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে পর্যটকেরা পরিবেশের ক্ষতি হয়, এমন কার্যক্রম করতে না পারে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নজরদারি রাখা হচ্ছে।’