ব্রেকিং
মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
প্রকাশ: ১৪:৫০, ১১ জুন ২০২৫
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিনের উদ্যোগে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রামসার সাইট ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গুয়ার হাওরে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
বুধবার (১১জুন) দুপুরে টাঙ্গুয়ার হাওরের উন্মুক্ত জলাশয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রাকৃতিক মাছের প্রজনন বৃদ্ধির পাশাপাশি হাওরের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়।
এসময় হাওরে ভ্রমণে আসা পর্যটকদের উদ্দেশ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সচেতনতামূলক বার্তা মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করা হয় যাতে তারা হাওরের পানিতে কোনো ধরনের প্লাস্টিক সামগ্রী বা পরিবেশদূষণকারী বর্জ্য না ফেলেন। পাশাপাশি হাওরের ওয়াচ টাওয়ার এলাকা এবং আশপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় সেসব এলাকায় পড়ে থাকা প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করে অপসারণ করা হয়।
ছাত্রদল নেতা মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর শুধু সুনামগঞ্জ নয়, পুরো দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ জীববৈচিত্র্যমণ্ডিত এলাকা। এটি একটি আন্তর্জাতিক রামসার সাইট এবং এক সময় এটি একটি সমৃদ্ধ মাছের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবৈধ দখল, দুর্নীতি ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের লোভের কারণে এই হাওর আজ ধ্বংসপ্রায়। এখন এটি কেবল নামে মাত্র একটি অভয়ারণ্য।
তিনি আরও বলেন, আজকের এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা একটি বার্তা দিতে চেয়েছি যদি আমরা সকলে মিলে আন্তরিক হই, তাহলে টাঙ্গুয়ার হাওরকে আবারও পূর্বের রূপে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। আমি আশা করি, সমাজের প্রতিটি সচেতন নাগরিক টাঙ্গুয়ার হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মৎস্যসম্পদ রক্ষায় এগিয়ে আসবেন।
পোনা অবমুক্তকরণ কার্যক্রমে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কয়েক'শ ছাত্রদলের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট হিসেবে স্বীকৃত, যা ২০০০ সালে আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ন জলাভূমি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়। এটি প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের একটি বিস্তীর্ণ জলাভূমি, যেখানে নানা প্রজাতির জলজ প্রাণী, পাখি ও উদ্ভিদ বসবাস করে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও জীববৈচিত্র্যের কারণে এটি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।