ব্রেকিং
প্রকাশ: ১৬:৪১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২০
অবিভক্ত আসাম-বাংলার বিশিষ্ট সাংবাদিক, সাহিত্যিক,রাজনীতিবিদ ,খেলাফত আন্দোলননেতা, ভাষা সৈনিক এবং সমাজসেবক মরহুম মকবুল হোসেন চৌধূরীর ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২০ ডিসেম্বর রবিবার ।
ঐতিহ্যবাহী সিলেট কেন্দ্রিয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মকবুল হোসেন চৌধুরী ১৯৩৭ সালে আসাম ব্যবস্থাপক সভার সদস্য (এম এলএ) নির্বাচিত হন। তিনি পরিষদের হুইপ ছিলেন।
সুরমা উপত্যকা প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য হিসেবে তিনি ১৯২০ সালে ভারতের নাগপুওে অনুষ্ঠিত সর্ব ভারতীয় কংগ্রেস সম্মেলনে যোগদান করেন। সরকার বিরোধী বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে ব্রিটিশরাজ তাঁকে দু’বছর কারারুদ্ধ করে রাখে। কিছুদিনের জন্যে তিনি
ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিভাগের যুগ্ম সম্পাদকের দার্য়িত্ব পালন করেন।
মকুবল হোসেন চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন পত্রিকা সিলেটের ‘যুগভেরী’র (১৯৩২) প্রথম সম্পাদক। এর আগে তিনি সিলেটের ‘যুগবাণী’ (১৯২৫) ও কলকাতার দৈনিক ‘ছোলতান’ (১৯৩০)-এর সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি ‘সিলেটপত্রিকা’ (১৯৫৭) সম্পাদনা করেন।
সম্প্রতি বিশিষ্ট সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত সালেহ চৌধুরীর সম্পাদনায় 'কালের দর্পণে সাংবাদিক-রাজনীতিবিদ মকবুল হোসেন চৌধুরী’ শীর্ষক একটি পুস্তক প্রকাশিত হয়েছে।
মকবুল হোসেন চৌধুরীর স্ত্রী বেগম শফিকুন্নেসা চৌধুরী, বড় ছেলে ফারুক চৌধুরী, মেঝো ও ছোট মেয়ে রোকেয়া সামাদ, আসিয়া চৌধুরী ও আসমা হোমায়েরা চৌধুরী ইতিমধ্যেই ইন্তেকাল করেছেন।
তাঁর মেঝো ছেলে অধুনালুপ্ত দৈনিক‘পূর্বদেশ’এর সিনিয়র রিপোর্টার হোসেন তওফিক চৌধুরী আইনজীবী ও কলামিস্ট, ছোট ছেলে বিশিষ্ট সাংবাদিক হাসান শাহরিয়ার জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনে (সিজেএ)-এরইন্টারন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমেরিটাস।
মরহুমের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আজ ঢাকা, সিলেট ও সুনামগঞ্জে কোরানখানি ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
সিলেট নিউজ ২৪