ব্রেকিং
মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা:
প্রকাশ: ১৬:১৭, ১৭ মে ২০২৫
ঘড়ির কাটায় ঠিক সকাল ১১টা বাজে। মাদ্রাসার চারপাশে শিক্ষার্থীরা ঘুরপাক খাচ্ছে। কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রতিষ্ঠান প্রঙ্গণে করছে খেলাধুলা। প্রতিষ্ঠানের তালা না খোলায় দীর্ঘসময় অপেক্ষা করে বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে চলে গেছে।
এমন চিত্রই দেখা গেছে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার বলরামপুর ও নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসা দুটিতে।
শনিবার সকাল ১১টার দিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বলরামপুর জামিয়া হাতিমিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসা দুটির তালা খোলা হয়নি। একজন শিক্ষক-কর্মচারীও আসেনি প্রতিষ্ঠান দুটিতে। ফলে প্রতিষ্ঠানে আসা শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে বাধ্য হয়ে বাড়িতে চলে গেছে।
নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসা থেকে সদ্য দাখিল পরীক্ষা সম্পন্নকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, 'আমি সকাল ১১টার দিকে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। আমাদের প্রতিষ্ঠানের বাইরে শিক্ষার্থীদের ঘুরতে দেখে আমি সেখানে যাই। গিয়ে দেখি কোন শিক্ষক বা কর্মচারী প্রতিষ্ঠানে আসেনি। পরে আমি ইউএনও স্যারকে কল করে এই বিষয়টি জানাই।'
বলরামপুর জামিয়া হাতিমিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপারিয়েনটেনডেন্ট মাওলানা শামছুল হক বলেন, 'আমি বাড়িতেই আছি। আজকে প্রতিষ্ঠান খোলা থাকার বিষয়টি আমার শিক্ষকরা জানেই না। 'তবে আজকে প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার বিষয়টি তিনি জানেন বলে প্রতিবেদককে জানান।
নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট মাওলানা জয়নাল আবেদীনের ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে মাদ্রাসাটির সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, 'আমি সুপারিনটেনডেন্ট হুজুরকে আজকে প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার নির্দেশনার বিষয়টি জানিয়ে ছিলাম। তিনি আমাকে বললেন, এটা শুধু অফিস খোলা রাখার নির্দেশনা। তাই আর প্রতিষ্ঠানে কেউ আসেনি।'
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুল কবির বলেন, আমি এই মাত্র আপনার কাছ থেকে বিষয়টি শোনলাম। এখনি খোঁজ নিয়ে দেখছি।'
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল রায় বলেন, নোয়াগাঁও দাখিল মাদ্রাসায় কোন শিক্ষক আসেনি এব্যাপার আমাকে একজন শিক্ষার্থী কল করে জানিয়েছে। আপনার কাছ থেকে বলরামপুর মাদ্রাসা না খোলার বিষয়টি শুনলাম। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।