ব্রেকিং
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশ: ১৯:০৩, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৯:০৩, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সিলেট নগরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে শিববাড়ী এলাকায় অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের প্রতিবাদ করায় প্রতিবেশিকে মামলা দিয়ে হয়রানি ও নানাভাবে হুমকি-ধমকির অভিযোগ ওঠেছে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন শিববাড়ী বন্দরঘাট পৈত্যপাড়ার বাসিন্দা গোপাল সূত্রধর।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, সিটি করপোরেশনের অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং, অভিযোগকারীর ভবন নির্মাণের অনুমোদন আটকে রেখেছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, স্থানীয় শিল্পী মালাকার ও তার স্বামী প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দিয়ে আমাদের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করছেন। অনুমোদন ছাড়াই তিনি ভবনের চারপাশে চারটি অতিরিক্ত কলাম স্থাপন করে অপরিকল্পিতভাবে ভবনের কাজ শুরু করেন। তাকে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিয়ে কাজ করতে বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং আমাদের মারধর করেন।
গোপাল সূত্রধর জানান, ২০২৪ সালের শিল্পী মালাকারের অবৈধ ও অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগ করলে প্রথমে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরে, গত বছরের ডিসেম্বরে শিল্পী মালাকারকে ভবন ভাঙার জন্য পরপর তিনটি নোটিশ জারি করা হয়। কিন্তু শিল্পী মালাকার সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশের তোয়াক্কা না করে ভবনের কাজ চালিয়ে যান। সিটি কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে তারা কাজ চালিয়ে গেছে। পরে, ২০২৫ সালের আবেদনের ভিত্তিতে তাকে অনুমোদন দেওয়া দেওয়া হয়।
তিনি অভিযোগ করেন, একপক্ষ অনুমোদন ছাড়াই ভবন নির্মাণ করতে দিলেও যাবতীয় নিয়ম মেনে পাঁচ তলা ভবন নির্মাণের অনুমোদন চেয়ে তিনি পাননি। অথচ, তিনি সিটি কর্পোরেশনের কাছে ২০২৪ সালে যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।
গোপাল সূত্রধর আরও অভিযোগ করেন, সিটি কর্পোরেশনে অভিযোগের কারণে সন্তোষ মালাকার তার তিন ছেলেসহ তাকে জড়িয়ে মিথ্যা চাঁদাবাজি, রড সিমেন্ট ও সেনেটারি চুরির মামলা দায়ের করেন। অথচ, এই অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। মামলা দিয়ে হয়রানির পাশাপাশি নানাভাবে হুমকি-ধমকির কারণে তিনি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
ভুক্তভোগী গোপাল সূত্রধর সিটি করপোরেশনের একপেশে আচরণ এবং শিল্পী-সন্তোষ গংদের হুমকি-ধমকি, হয়রানির বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।