ব্রেকিং
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশ: ২০:৩৩, ২ জুন ২০২৫
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার ১১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্বাদশ কাউন্সিল অধিবেশন সোমবার (২ জুন) সংগঠনের রাজা ম্যানশনস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বাদশ কাউন্সিলের মাধ্যমে সুমিত কান্তি দাশ পিনাক সভাপতি ও বুশরা সোহেলকে সাধারণ সম্পাদক করে এই কমিটি গঠন করা হয়।
সংগঠন নগর শাখার সহ-সভাপতি সুমিত কান্তি দাস পিনাকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বুশরা সোহেলের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ছাত্রনেতা সালমান সিদ্দিকী, বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলা সাংগঠনিক কমিটির সমন্বয়ক সঞ্জয় কান্ত দাস ।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সহ-সভাপতি দোয়েল রায়, মিসবাহ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শোয়েব আহমেদ সৌরভ, দপ্তর সম্পাদক মনির উদ্দীন নিয়াজী, অর্থ সম্পাদক পূর্ণিমা রানী দাশ, প্রচার সম্পাদক উৎস কান্তি দাস, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক সুমাইয়া আক্তার সোমা, সদস্য সজীব আহমেদ দীপু, সৈয়দ রুবেল আলী।
কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তারা বলেন, “সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার দ্বাদশ কাউন্সিল এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন ছাত্র-জনতার শহীদী আত্মদানে বাংলাদেশে একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে। সারা দেশ তথা সিলেটেও জুলাই অভ্যুত্থানে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট তার সর্ব শক্তি দিয়ে লড়েছে। সিলেটে জুলাই আন্দোলনে ছাত্রলীগ-যুবলীগ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে উঠে আমাদের সংগঠনসহ বামপন্থী ছাত্রদের নেতৃত্বে। আমাদের সংগঠনের নেতাকর্মীরা গুরুতর আহত হয়। জুলাই অভ্যুত্থান একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রত্যাশা সৃষ্টি করেছে। অভ্যুত্থানের প্রায় ১০ মাস অতিবাহিত হয়েছে, কিন্তু শিক্ষাক্ষেত্রে এখনও তেমন কোন পরিবর্তন নজরে পড়ছে না। গোটা রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক সংস্কারের কথা আলোচিত হলেও ‘শিক্ষা সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হয়নি। সম্প্রতি জাতীয় বাজেট নিয়ে কথা হচ্ছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে আমরা দেখছি, এবারের বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ আরো কমিয়ে মাত্র ৯ শতাংশ করা হচ্ছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে এখনও চলছে বাণিজ্যিকীকরণ, বেসরকারিকরণ নীতি। যা জুলাইয়ের বৈষম্যহীন বাংলাদেশ নির্মাণের বিরোধী। একই সাথে আমরা লক্ষ্য করছি, জুলাই হত্যাকান্ডে বিচার নিয়ে সরকার দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ গ্রহণ করছে না। উপরন্তু জুলাই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অনেকেই দেশ ছেড়ে যাচ্ছে। দেশে আওয়ামী আমলের মতই সিন্ডিকেট চক্র কাজ করছে। শ্রমিকরা তাদের বকেয়া বেতন পাচ্ছে না। উল্টো আন্দোলনে নামলে পুলিশী নির্যাতনের মতো ঘটনা, এমনি কি গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। এ রকম পরিস্থিতিতে দেশে সংস্কার না নির্বাচন-এই অযাচিত বির্তক তৈরি করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, সংস্কার এবং নির্বাচন পরস্পর সাংঘর্ষিক নয়, দুটোই প্রয়োজনীয়। সরকারের খুব সংগোপনে নিউমুুরিং টার্মিনাল বিদেশীদের তুলে দেয়া এবং রাখাইন করিডোরে মতো ঘটনাও সামনে এসছে। এর ফলে মানুষের মধ্যে নানান দ্বিধা,শঙ্কা কাজ করছে। এই অবস্থায় জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনাকে সম্মুন্নত রেখে ছাত্র সমাজকে সংগঠতি করতে এই দ্বাদশ কাউন্সিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’