ঢাকা, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫

২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৯ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

‘বেসিক নলেজ পরীক্ষায়’ প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী

শান্তিগঞ্জে ইউএনও’র শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

সুনামগঞ্জ (শান্তিগঞ্জ) সংবাদদাতা:

প্রকাশ: ১৯:১৭, ৩ জুন ২০২৫

শান্তিগঞ্জে ইউএনও’র শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুকান্ত সাহার উদ্যোগ ও পরিকল্পনায় উপজেলার ৯৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্ব-স্ব কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের ‘বেসিক নলেজ পরীক্ষা’ সোমবার একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪২৮৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০ মার্কের দেড় ঘন্টাব্যাপী এই ‘বেসিক নলেজ পরীক্ষা’ প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয়।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মৌলিক জ্ঞান যাচাই করে, দুর্বলতা চিহ্নিত করে, প্রয়োজনীয় পাঠ পরিকল্পনা গড়ে তোলার একটি সুসংগঠিত ও সময়োপযোগী কাঠামো তৈরি হলো। এর মাধ্যমে শিক্ষার ভিতে যেভাবে সরাসরি হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে, তেমন উদ্যোগ এর আগে উপজেলায় দেখা যায়নি বলে মত প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত স্বস্ব বিদ্যালয়ে পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত  সাধারণ জ্ঞান এবং মৌখিক বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেয় চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির মোট ৪২৮৭ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার ৮১.৭% শতাংশ এবং পঞ্চম শ্রেণির ৮৫.৮৭ শতাংশ। সব স্কুলে একযোগে প্রশ্নপত্র ও সময় নির্ধারণ করা হয়, যাতে একটি স্ট্যান্ডার্ড ও স্বচ্ছ মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা যায়। এই ফলাফলের ভিত্তিতেই শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ও শ্রেষ্ঠ স্কুল নির্বাচন করা হবে৷ 

শিক্ষক ও অভিভাবকরাও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, এই ধরনের সৃজনশীল ও ফলমুখী মূল্যায়ন পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের শেখার প্রতি আগ্রহ ও আত্মবিশ্বাস দুটোই বাড়াবে। সার্বিকভাবে, শান্তিগঞ্জে এই ‘বেসিক নলেজ পরীক্ষা’ হয়ে উঠেছে শিক্ষায় গুণগত পরিবর্তনের একটি উদাহরণ। 

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম খান বলেন, ইউএনও স্যারের উদ্যোগে শান্তিগঞ্জের ৯৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই মূল্যায়ন পরীক্ষা একসঙ্গে আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের শেখার অগ্রগতি বোঝা এবং শিক্ষকদের পঠনপাঠনে দিক নির্দেশনা তৈরির জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে। 

এ ব্যাপারে শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত সাহা বলেন, আমাদের লক্ষ্য খুবই পরিষ্কার। প্রাথমিক স্তর থেকেই শিশুর প্রকৃত শেখার মান যাচাই করতে হবে। কারা পিছিয়ে আছে, কেন পিছিয়ে আছে সেসব জানতে না পারলে কোনো পদক্ষেপ কার্যকর হবে না। এই পরীক্ষার ফল বিশ্লেষণ করে আমরা সুনির্দিষ্ট পাঠ পরিকল্পনার মাধ্যমে দুর্বল শিক্ষার্থীদের সহায়তা করব।

আরও পড়ুন