ব্রেকিং
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ২০:৫৩, ২৫ মে ২০২৫
সিলেটে বিজিবি-৫২ আওতাধীন বিয়ানীবাজার ও বড়লেখা সীমান্তের পাঁচ টি পয়েন্ট দিয়ে বিএসএফ বিপুল সংখ্যক ১৫৩ নারী পুরুষ ও শিশুকে আজ রোববার পুশইন করেছে।
বিজিবির টহল দল তাৎক্ষনিকভাবে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের আটক করে সক্ষম হয় এবং প্রাথমিকভাবে হেফাজতে রাখা হয় জিজ্ঞাসাবাদ করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য।
বিজিবি ৫২- এর সিও লে: কর্ণেল মেহেদী হাসান জানান, আজ রোববার ভোরে বিয়ানী বাজার ও বড়লেখা দুই উপজেলার সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ ১৫৩ জন কে পুশইন করেছে।এর মধ্যে ৪৯ জন পুরুষ, ৫৩ জন নারী এবং শিশু- ৫১ জন শিশু রয়েছে। ওদের মধ্যে বিয়ানীবাজার দিয়ে মোট ৩২ জন এবং মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে মোট ১২১ জনকে সীমান্তবর্তী এলাকায় বিএসএফ পুশইন করে ।
লে: কর্ণেল মেহেদী হাসান জানান, গত ৪ মে থেকে বিএসএফ সীমান্ত এলাকায় পুশইনের জন্য তৎপর হয়ে ওঠেছে।ভারতের গুজরাট, হরিয়ানাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ওদের নিয়ে এসে গাড়ি করে ঘুরছে পুশইন করার জন্য। বিজিবি জোয়ানরা রাত জেগে টহল দিয়ে তা ঠেকিয়ে দিচ্ছে।ওরা সুযোগ খুঁজে কারন আমার ৫২ ব্যাটালিয়নের ১১৪ কিলোমিটার সীমান্ত সামাল দিতে হচ্ছে। তিনি জানান, আটক লোকজন এক থেকে ৭ বছর ধরে ভারতে অবস্হান করে শুমিকের কাজ করছিল।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, পুশইনের এই বড় আকারের ঘটনায় সিলেটের তিনটি সীমান্ত ব্যবহার করা হয়, মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার শাহবাজপুর সীমান্ত দিয়ে ৭৯ জন ও পাল্লাথল সীমান্ত দিয়ে ৪২ জন ও সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার নয়গ্রাম সীমান্ত দিয়ে ৩২ জন।
বিজিবির ৫২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মেহেদী হাসান জানান, রাত আনুমানিক আড়াইটা থেকে বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত এলাকায় অতিরিক্ত নজরদারি চালান এবং তখনই দেখতে পান, ঘন জঙ্গল ও বিলপথ ব্যবহার করে ভারতীয় সীমান্ত থেকে উল্লেখিত ব্যক্তিদের বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে। আটককৃতদের প্রাথমিকভাবে হেফাজতে রেখে তাদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য গত ৩ সপ্তাহে এই নিয়ে সিলেট অঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ কর্তৃক পুশইন হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ১৯০ জনে। এর আগে ১৪ মে কানাইঘাট সীমান্ত দিয়ে ১৬ জন, ২৪ মে ২১ জন এবং সর্বশেষ বোরবার (২৫ মে) আরও ১৫৩ জনকে পুশইন করে বিএসএফ।
রাত আড়াইটা থেকে সকাল সকাল সাড়ে ৮টার মধ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিজিবি টহল দল আটক করতে সক্ষম হয়। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর বাংলাদেশী নাগরিক নিশ্চিত হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।। তাদের অধিকাংশই কুড়িগ্রাম এলাকার বাসিন্দা।