ব্রেকিং
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশ: ২০:০৬, ১০ মে ২০২৫ | আপডেট: ২০:৫৫, ১০ মে ২০২৫
আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা এমপি সুনামগঞ্জের (জামাল গঞ্জ) শামীমা শাহরিয়ার ও শেখ হাসিনার পদচ্যুত সাবেক সহকারী প্রেস সচিব বিটু কে একই বাসায় আত্মগোপন থাকা অবস্হায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ।
শনিবার রাজধানীর ঝিগাতলা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিএমপির মিডিয়া বিভাগ থেকে সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতিতে গ্রেপ্তারের কথা জানানো হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন সংরক্ষিত আসনের এমপি ও কৃষকলীগ নেত্রী অ্যাডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার ওরফে শামীমা আক্তার খানম এবং শেখ হাসিনার সাবেক সহকারি প্রেস সচিব আশরাফ সিদ্দিকী বিটু।
ডিবি সূত্র জানায়, গ্রেপ্তাররা ঝিগাতলার একটি বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) নাসিরুল ইসলামের নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে ডিবি-দক্ষিণের একটি টিম অভিযান চালায়। তারা দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছিলেন বলে জানা গেছে।
তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা রয়েছে। এছাড়া চলমান দেশ ও সরকার বিরোধী ষড়যন্ত্র ও গোপন পরিকল্পনার তথ্য রয়েছে গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে।
শামীমা দাপিয়ে বেরিয়েছেন হাওর জনপদ
জামালগঞ্জ থেকে বিশেষ সংবাদদাতা জানান, শামীমার গ্রেফতারের খবরে এলাকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও চায়ের কাপে ঝড় ওঠেছে। বিগত পতিত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে বিনা ভোটে এমপি হয়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনেছেন সিলেট-সুনামগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের এমপি শামীমা আক্তার খানম (শামীমা শাহরিয়ার)।
এমপি হয়েই অনুগতদের নিয়ে দাপিয়ে বেরিয়েছেন হাওর জনপদে। নিজগ্রাম (শ্বশুর বাড়ি ফেনারবাঁক গ্রাম) ও এলাকার মানুষকে বিভিন্ন কায়দায় অত্যাচার নির্যাতন করে মিথ্যা মামলায় দিয়েছেন জেল হাজতে। স্বামী সাবেক ট্রাফিক সার্জেন্টে শাহারিয়ার চৌধুরী বিপ্লব চাকুরী পেয়েই জিরো থেকে হিরো হয়েছেন।
প্রভাবশালী স্বামী-স্ত্রী দম্পত্তির অত্যাচার, অনিয়ম, দুর্নীতি ও লটুপাটের একাধিক নিউজ পত্রিকায় প্রকাশ হলেও তাদের পশম ও নড়েনি। বীরদর্পে দাপিয়ে চলেছিলেন তারা। এই দম্পতির প্রথমেই তেমন কিছু না থাকলেও পরে তারা ঢাকা, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, ময়মন সিংহ, জামালগঞ্জ বাসা বাড়ি করে ফুলে ফেঁপে ওঠেছেন বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন। জানা গেছে, এলজিইডির মাধ্যমে ফেনারবাঁক গ্রামে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকার সেতু নির্মাণ না-কি লুটপাটের জন্য করা হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা সদরে ও অন্যান্য গ্রামে সমালোচনার শেষ নেই।