ব্রেকিং
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রকাশ: ২০:৪৯, ৮ জুলাই ২০২৫
সিলেটের পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে পরিবহণ মালিক-শ্রমিকদের ডাকা পরিবহন ধর্মঘট ৮ ঘন্টা পর স্হগিত করে বিভাগীয় কমিশনারের আহ্বানে তাঁর কার্যালয়ে সভায় অংশ নেন পবিরহন নেতারা।
বিকেল থেকে ম্যারাথন বৈঠকের পর এরপর সন্ধ্যা পৌণে ৭টার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে সিলেটের পরিবহন মালিক শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষনা দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সিলেট বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত জরুরি সভায় সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা উন নবীর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সিলেট জেলার পরিবহন মালিক শ্রমিক ও পাথর কোয়ারী সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকে রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর জামায়াতের আমীর মোঃ ফখরুল ইসলামসহ প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তা এবং পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ। পৌণে ৭টার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসের ভিত্তিতে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়ার কথা জানান বৈঠকে থাকা নেতারা।
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মোঃ রেজা-উন-নবী জানান, আন্দোলনকারীদের দাবি দাওয়া বিস্তারিত শোনা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা দপ্তর ও যথাযথ মন্ত্রণালয়ে তাদের দাবি পৌঁছানো হবে। তবে কোনোরকম জনভোগান্তি তৈরি করা থেকে আন্দোলনকারীদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এসময়, বিভিন্ন দাবি দাওয়ার প্রেক্ষিতে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সিলেটে পাথর উত্তোলন নিয়ে উদ্ভূত পরিস্থিতি সমাধানে বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছানো হবে।
এছাড়াও তিনি বলেন, গাড়ির ইকোনমিক লাইফ টাইম সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনের আওতায় সিলেট বিভাগের নাম না থাকায়, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারন নেই।
এছাড়া ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পুলিশি হয়রানি, গণপরিবহনের অতিরিক্ত বর্ধিত ট্যাক্স প্রত্যাহার সহ পণ্য পরিবহনের সকল সমস্যা সমাধানে ও কাজ করা হবে বলে আশ্বাস দেন বিভাগীয় কমিশনার।
প্রসঙ্গত, পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকাল ৬ টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন। এই কর্ম বিরতির ফলে রাস্তায় কোন ইঞ্জিন চালিত গণপরিবহন ছিল না। তাই কার্যত সড়ক যোগসযোগ অচল হয়ে পড়ে।
তবে বেলা ২ টার দিকে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল হক কর্মবিরতি ‘আপাতত’ স্থগিতের ঘোষণা দেন।
ময়নুল হক জানান, তাদের দাবি-দাওয়াগুলো সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্ঠাদের কাছে পাঠানো হবে- এমন একটা আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তারা ধর্মঘট বা কর্মবিরতি থেকে সরে এসেছেন।