ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

৫ আষাঢ় ১৪৩২, ২২ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

ব্রেকিং

Scroll
সিলেট জেলা ও মহানগর এনসিপি’র সমন্বয় কমিটি ঘোষণা
Scroll
সিলেটে ব্যবসায়ীর ৮ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় বন্ধুসহ গ্রেফতার ২
Scroll
প্রবল বৃষ্টিতে সিলেট শহরে হাঁটুপানি
Scroll
সিলেট সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১৬ জনকে বিএসএফের পুশইন
Scroll
ঈদুল আজহায় ১০ দিনের ছুটি ঘোষণা
Scroll
সিলেটে এড. শামসুল হত্যা মামলায় ৩ আসামির ফাঁসি
Scroll
৪ মাস পর ফিরোজায় পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
Scroll
দেশে ফিরলেন খালেদা জিয়া
Scroll
সিলেটে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আটক ১৪
Scroll
সিলেটে কেএফসি গুড়িয়ে পতাকা উড়ালো ছাত্র-জনতা, বাটা ও ইউনিমার্টে ভাঙচুর
Scroll
হবিগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫০
Scroll
বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে প্রাণ গেল ১০ জনের
Scroll
ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র ঘোষণা আদালতের

হাসিনা-কামালকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ

অনলাইন ডেস্ক:

প্রকাশ: ১৩:৫৪, ১৬ জুন ২০২৫

হাসিনা-কামালকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ

ছবি-সংগৃহীত

জুলাই আন্দোলনে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে হাজির হতে দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ২৪ জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

সোমবার (১৬ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।

এ সময় মামলার আরেক আসামি সাবেক পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ট্রাইব্যুনালে হাজির ছিলেন। আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এর আগে জুলাই-আগস্টের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে শুনানিতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলেও শেখ হাসিনা ও কামালকে তাদের ঠিকানায় খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে জানায় পুলিশ। পরে আদালত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন।

গত ১ জুন জুলাই-আগস্টে গণহত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৫টি অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল। মামলার অপর দুই আসামি হলেন— সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী মামুন। একইসঙ্গে এই মামলায় শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালের বিরুদ্ধে নতুন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

সেদিন আদালতে শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনান চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার, মিজানুল ইসলাম। যা সব গণমাধ্যমে সম্প্রচার করা যায়।

এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অভিযুক্ত করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়।

গত ১২ মে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা। তদন্ত প্রতিবেদনে জুলাই গণহত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে শেখ হাসিনার নাম উঠে এসেছে।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের অভিযোগে বলা হয়, ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে ১৪শ ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়। এর দায় শেখ হাসিনার। তার নির্দেশ, উসকানি, প্ররোচনায় হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। শেখ হাসিনার নির্দেশে আন্দোলন দমনে মরনঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করার প্রমাণ মিলেছে বলেও প্রসিকিউশন জানিয়েছে।

আরও পড়ুন