ব্রেকিং
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশ: ১২:৫৬, ১৯ জুন ২০২৫
গ্রীষ্মের সুস্বাদু ফলের মধ্যে একটি জাম। বেগুনি রঙের এই ফলটি কেবল সুস্বাদুই নয়, বরং প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণেও ভরপুর। সাধারণত এর বীজ গুঁড়া করে খাওয়া হলে তা স্বাস্থ্যের জন্য বিস্ময়কর কাজ করতে পারে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে
জামের বিচিতে জ্যাম্বলিন (jamboline) নামক একটি উপাদান থাকে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। এশিয়ান প্যাসিফিক জার্নাল অব ট্রপিক্যাল বায়োমেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, জামের বীজের নির্যাস ডায়াবেটিক ইঁদুরের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে, যা এর ডায়াবেটিস-বিরোধী বৈশিষ্ট্য থাকার প্রমাণ দেয়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
জামের বীজের গুঁড়া খাওয়ার আরেকটি আশ্চর্যজনক সুবিধা হলো, এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। জাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ, যা ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। একবার আপনি নিয়মিত এর গুঁড়া খাওয়া শুরু করলে, লক্ষ্য করবেন যে অসুস্থ হওয়ার ফ্রিকোয়েন্সি অনেকটাই কমে গেছে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি করে
জামের বিচিতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট দেহে ফ্রি র্যাডিকেলের ক্ষতিকর প্রভাব কমাতে সাহায্য করে।
হজমে সহায়তা করে
জামের বিচি গুঁড়া করে খেলে হজমে কিছুটা সহায়তা করতে পারে; বিশেষ করে ডায়রিয়া বা পেট খারাপ হলে উপকার পাওয়া যেতে পারে। ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে পারে কিছু উপাদান। সকালে খালি পেটে এই বীজের গুঁড়া খেলে অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করে। সেইসঙ্গে পেট ফাঁপা এবং অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দিতে পারে।
ওজন কমাতে সহায়তা করে
নিয়মিত জামের বীজ খেলে মেদ ঝরে যায়। তাই ওজন বেশি থাকলে জামের বীজের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। দ্য ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ওবেসিটির মতে, জাম ফ্যাট বিপাক রোধ করতে এবং চর্বি জমা কমাতেও সাহায্য করতে পারে।
পেটের জন্য উপকারী
বদহজম, গ্যাস ও অ্যাসিডিটির মতো জটিলতায় জামের বিচি দারুণ কাজ করে। এই বীজ নিয়মিত খেলে পেটের অসুখ থেকে সহজে নিস্তার পাওয়া যায়।
ত্বক ভালো করে
যেহেতু জাম অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ, তাই এটি আমাদের ত্বকের জন্যও দুর্দান্ত। এই বৈশিষ্ট্যগুলো ব্রণ, পিগমেন্টেশন এবং কালচে দাগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। শুধু তাই নয়, এর গুঁড়া খেলে অকাল বার্ধক্য এবং নিস্তেজ ত্বকও প্রতিরোধ করা যায়।