ব্রেকিং
স্টাফ রিপোর্টার:
প্রকাশ: ২০:১৭, ১৬ জুন ২০২৫
সম্প্রতি সিলেটে পর্যটন এলাকা পরিদর্শনে এসে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছিলেন, পর্যটন এলাকায় পাথর উত্তোলন বন্ধ এবং এখানকার স্টোন ক্রাশারগুলো অপসারণ করা হবে। অবৈধভাবে কাউকে পাথর উত্তোলন করতে দেয়া হবে না। যে ক্রাশার মেশিনগুলো আছে সেগুলো সরানো হবে এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
উপদেষ্টার বক্তব্যের দুদিন পর থেকেই স্টোন ক্রাশার মিল উচ্ছেদ ও এগুলোর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করণে টাস্কফোর্স অভিযান শুরু হয়েছে। সিলেট এবং জৈন্তাপুরে পৃথক অভিযানে ৩৫টি পাথর ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ও যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত যৌথবাহিনীর উপস্থিতিতে টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের ধোপাগুল ক্রাশার জোন এলাকায় ৩০টি ক্রাশার মিল বন্ধ করে দিয়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করেছে। এছাড়া জৈন্তাপুর উপজেলার ৫টি স্টোন ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়েছে।
জানা যায়, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেরিনা দেবনাথের নেতৃত্বে ধোপাগুল এলাকায় টাস্কফোর্সের অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন সময়ে ধোপাগুল বাজারের ৩০টি ক্রাশার মেশিনের মিটার খুলে নেওয়া হয়েছে এবং ক্রাশার এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, যৌথবাহিনীর উপস্থিতিতে টাস্কফোর্সের অভিযানে ধোপাগুলে ক্রাশার এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং এই সময় ৩০টি ক্রাশার মেশিনের বিদ্যুতের মিটার খুলে নেওয়া হয়।
এদিকে, সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জৈন্তাপুর উপজেলায় স্টোন ক্রাশার উচ্ছেদে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে প্রশাসন।
এই অভিযানের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জৈন্তাপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার লাবনী।
জানা যায়, জৈন্তাপুর এলাকার লক্ষ্মীপুর ১ম খন্ডে ৫টি ক্রাশার স্টোন মিশিনে অভিযান চালিয়ে এগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার লাবনী বলেন, ‘অবৈধ স্থাপনা ও পরিবেশবিধ্বংসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান চলমান থাকবে। কোনোভাবেই আইন অমান্যকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।’