ব্রেকিং
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
প্রকাশ: ১৯:১৩, ৩ মে ২০২৫
ছবি-সংগৃহীত
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছে। সীমান্তে সেনাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। এর মধ্যে গত ১ মে সামরিক মহড়া চালিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। একদিন পরেই এবার ভয়ংকর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল ইসলামাবাদ।
শনিবার (৩ মে) দ্য ডন এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার উত্তেজনার মধ্যেই ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল পাকিস্তান।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরেরবরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি ৪৫০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত এবং পারমাণবিক উভয় ধরনের ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। আবদালি উইপন সিস্টেম নামের এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ‘ইন্ডাস’ সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবে উৎক্ষেপণ করা হয়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী জানায়, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার লক্ষ্য ছিল সেনাদের অপারেশনাল প্রস্তুতি নিশ্চিত করা, ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম এবং উন্নত ম্যানুভারেবিলিটি বৈশিষ্ট্যসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত পরামিতি যাচাই করা।
এদিকে, পাকিস্তানের এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ‘গুরুতর উসকানি’ হিসেবে দেখছে ভারত। অথচ, গেল সপ্তাহে ভারতও একাধিক অ্যান্টি-শিপ (জাহাজ বিধ্বংসী) ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল। শুধু তাই নয়, সীমান্তে যেকোনো ধরনের হুমকি মোকাবিলায় নিজের তিন বাহিনীকে অভিযানের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে হামলায় পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে ভারত। তবে হামলায় জড়িত থাকার কথা শুরু থেকেই অস্বীকার এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্তে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছে ইসলামাবাদ। তারপরেও পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।
জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন। ইরান ও বাংলাদেশ প্রকাশ্যে মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তান যে কাশ্মীরা হামলা চালিয়েছে, তার জোরালো প্রমাণ এখনও দেখাতে পারেনি ভারত। এ অবস্থায় দিল্লি কোনো পদক্ষেপ নিলে বিশ্ব মঞ্চে তার ন্যায্যতা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে, পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চমলান সামরিক সংঘর্ষের আশঙ্কা যদি বাড়তে থাকে তাহলে তা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হতে পারে।